গঠনতন্ত্র

গঠনতন্ত্র প্রণয়ন কমিটির সদস্য

মোঃ তুহিন আরন্য
মোঃ আতিকুর রহমান টিটু
মোঃ ওয়াজেদুল হক
মোঃ আবু লায়েছ লাবলু
মোঃ মিজানুর রহমান
মোঃ কামারুজ্জামান খান
মোঃ মাহবুবুল হক পোলেন
মোঃ আলামিন হোসেন
মোঃ ইয়াদুল মোমিন
মোঃ মহাসিন আলী
মোঃ গোলাম মোস্তফা
মোঃ আনিসুজ্জামান মেন্টু
মোঃ জি এফ মামুন লাকী
মোঃ ফারুক মল্লিক
মীর সউদ আলী চন্দন
রশিদ হাসান খান আলো
মোঃ জুলফিকার আলী কানন

ভূমিকাঃ

পেশাগত দায়িত্ব, তথ্য ও নিজেদের ভাব বিনিময়ের মাধ্যমে সাংবাদিকতায় দক্ষতা, বস্তুনিষ্ঠতা, সততা এবং সংবাদকর্মীদের মধ্যে ঐক্যবদ্ধতা সৃষ্টির মহান লক্ষ্য নিয়ে ১৯৬৭ খ্রীষ্টাব্দে মেহেরপুর প্রেসক্লাব প্রতিষ্ঠা করা হয়। তৎকালীন সময়ে মেহেরপুর মহাকুমা প্রশাসক এ, ওয়াই, এম, আর ওসমানি (সিএসপি) কে সভাপতি করে এবং তাঁর পৃষ্টপোষকতায় সাংবাদিকদের নিয়ে একটি কমিটি গঠন করে প্রেসক্লাবের যাত্রা শুরু হয়। দীর্ঘ সময় পেরিয়ে এসে ১৯৮৫ খ্রীষ্টাব্দে নব প্রজন্মের সাংবাদিকগণ প্রবীণদের অনুপ্রেরণা নিয়ে নব উদ্যোমে বিস্মৃত প্রয় প্রেস ক্লাব পূর্ণগঠন প্রক্রিয়া শুরু করলে নিজেদের অনৈক্য ও প্রশাসনিক হস্তক্ষেপে তা পিছিয়ে পড়লেও সাংবাদিকদের ঐক্য প্রক্রিয়া চলতে থাকে। এক পর্যায়ে শতভাগ পেশাদার সাংবাদিকদের ঐক্যবদ্ধ করতে না পারলেও নিরঙ্কুশ সাংবাদিকদের সমর্থন, সহযোগিতা ও অংশীদারিত্বের মাধ্যমে মেহেরপুর প্রেসক্লাব প্রাতিষ্ঠানিক রূপ নিয়ে সরব যাত্রা শুরু করে। অল্প সময়েই সাংবাদিকদের মিলনস্থান মেহেরপুর প্রেসক্লাব মানুষের, প্রশাসনের এবং জন প্রতিনিধিদের মত প্রকাশের কেন্দ্রবিন্দুতে রূপ নেয়। জেলার বিভিন্ন সমস্য, সম্ভাবনা, অন্তরায় ও করণীয় নিয়েী প্রেস ক্লাব বিভিন্ন সময়ে জেলার সুধীজন, প্রশাসনিক শীর্ষ কর্মকর্তা, জন প্রতিনিধি, রাজনীতিবিদ, সুশলি সমাজের বিভিন্ন স্তরের প্রতিনিধিদের অংশ গ্রহনে গোলটেবিল বৈঠক প্রথা চালু করে। যা, জেলার শান্তি, উন্নয়ন ও স্থিতিশীলতায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে।

১৯৮৮ সালের দিকে এসে নিজেদের দ্বন্দ ও অনৈক্যের কারণে প্রেস ক্লাব অনেকটা থমকে যায়। তৎকালীন সময়ে প্রেস ক্লাবের সাধারন সম্পাদক আশরাফুল ইসলাম নিজস্ব যুক্তি মননে ক্লাবের গঠনতন্ত্রে পরিবর্তন আনা হয়। সেই গঠনতন্ত্রে সাংবাদিকদের তীর্থস্থান প্রেস ক্লাবকে সাংবাদিকদের মান উন্নয়ন সহ সামাজিক সেবা মূলক প্রতিষ্ঠান হিসাবে রূপদানের লক্ষ্য নিয়ে প্রেস এন্ড হিউম্যান ডেভেলপমেন্ট ইন্সটিটিউট (পি.এইচ.ডি.আই) নিয়ন্ত্রিত প্রতিষ্ঠান হিসাবে আনা হয়। ২০০০ সালে এই নিয়ে সাংবাদিকদের মধ্যে বিভক্তি দেখা দেয়। সাংবাদিকরা (পি.এইচ.ডি.আই) এর বৈধ্যতা এবং প্রেস ক্লাবের উপর নিয়ন্ত্রণ প্রশ্নে

আপত্তি তুলে এর বিরোধীতা করে। তখন থেকে টানা ১০ বছর রাজনৈতিক হস্তক্ষেপ ষড়যন্ত্র ও কিছু সাংবাদিকদের পক্ষভুক্ত করে ফেললে প্রেস ক্লাব কার্যক্রম কার্যত বন্ধ হয়ে যায়। এই দীর্ঘ ক্রান্তিকালে প্রেস ক্লাব সামাজিক ও সাংবাদিকদের স্বার্থ সংশ্লিষ্ট কাজে ভূমিকা না রাখতে পারলেও এবং নিজেরা বিছিন্নভাবে অবস্থান করলেও পেশাগত ক্ষেত্রে সাংবাদিকরা সাহসী ভূমিকা রাখতে পিছপা হননি। পরিবর্তিত পরিস্থিতি, দেশের চলমান রাজনৈতিক

অস্থিরতা ও পেশাগত ঝুঁকি বিবেচনায় নিয়ে ২০১৪ সালের নভেম্বর মাসে বিভক্ত সকল পক্ষের সাংবাদিকদের ঐক্যব্ধতা ও প্রেস ক্লব র্কাক্রম সক্রিয় করতে সাংবাদিকরা ঐক্যমত হন। এবং ওই মাসেই ‘প্রেস এন্ড হিউম্যান ডেভেলপমেন্ট ইন্সটিটিউট (পি.এইচ.ডি.আই) বিলুপ্ত করে পূর্বের গঠনতান্তিক ধারাবাহিকতা অক্ষুন্ন রেখে মেহেরপুর প্রেস ক্লাবের জন্য শক্তিশালী কাঠামো ভিত্তিক তৃতীয় সংশোধনী গঠনতন্ত্র প্রণয়নের জন্য কমিটি গঠনের সিদ্ধান্ত হয়।

 

শেষ কথাঃ

সেই সিদ্ধান্তের আলোকে মেহেরপুর প্রেস ক্লাবের গঠনতন্ত সংশোধন, পরিবর্তন, পরিবর্ধন, পরিমার্জন, সংযোজন, বিয়োজন করে সাংবাদিকতা ও সাংবাদিকদের পেশাগত মান উন্নয়ন, দ্বায়িত্বশীলতা, শৃঙ্খলা, সাংগঠনিক অবকাঠামো শডিক্তশালীকরণ সহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে সুনির্দিষ্ট বিধিবিধান, ধারা ও উপধারা আনায়ন ও সন্নিবেশিত করে এই নতুন গঠনতন্ত্র প্রণয়ন করা হলো। এই সংশোধিত সংবিধানে ‘প্রেস এ্যান্ড হিউম্যান ডেভেলপমেন্ট ইন্সটিটিউট (পি.এইচ.ডি.আই) বিলুপ্ত করা হলো। এবং পূর্বের ন্যায় মেহেরপুর প্রেস ক্লবকে সাংবাদিকদের অভিভাবক প্রতিষ্ঠান হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া হলো। পাশাপাশি পূর্বের সমস্ত গ্লানি, ব্যর্থতা, ত্রুটিবিচ্যুতি দায়মুক্তি হিসাবে বিবেচিত হলেণা। সে ক্ষেত্রে পূর্বের গঠনতন্ত্রে যত যা কিছুই উল্লেখ থা্‌কুক না কেন, সংশোধিত ও নতুন এ গঠনতন্ত্রের সাথে পূর্বের গঠনতন্ত্রের কোন ধারা, উপধারা, বিধিবিধান সাংঘর্ষিক হলে পুর্বের গঠনতন্ত্রের সমস্ত কিছু অগ্রণযোগ্য হিসেবে বিবেচিত হবে। এবং মেহেরপুর প্রেস ক্লাব পরিচালনায় নতুন গঠনতন্ত্রের সমস্ত ধারা উপধারা প্রয়োগ বলবৎ ও গ্রহণযোগ্য হবে।

০১। সংগঠন পরিচিতিঃ

ক) সংগঠনের নামঃমেহেরপুর প্রেস ক্লাব” হবে সংগঠনের মূল নাম। তবে, প্রেস ক্লাব মেহেরপুর, জেলা প্রেস ক্লাব মেহেরপুর, প্রেস ক্লাব মেহেরপুর জেলা, বলতে মেহেরপুর প্রেস ক্লাব বোঝাবে।

মেহেরপুরে কর্মরত সকল জাতীয়, আঞ্চলিক, স্থানীয় দৈনিক ও সাপ্তাহিক সংবাদ পত্র, বার্তা সংস্থা ও টেলিভিশন চ্যানেলের সাংবাদিকদের নিয়ে এই ক্লাব গঠিত হবে।

খ) সংগঠনের ঠিকানাঃ এই সংগঠন/ক্লাবের কার্যালয় মেহেরপুর জেলা শহরে অবস্থিত হবে।

০২। আদর্শ উদ্দেশ্যঃ

ক. সাংবাদিকদের দক্ষতা বৃদ্ধি, প্রতিভা বিকাশ, পেশাগত মান উন্নয়ন, কর্মশালা, উচ্চতার প্রশিক্ষণ, মর্যাদা প্রতিষ্ঠা, সহমর্মিতা ও স্বার্থ রক্ষা।

খ. বস্তুনিষ্ঠ ও সুস্থ সাংবাদিকতার মাধ্যমে বিকাশ ঘটানো।

গ. সংগঠনের সদস্যদের জন্য কল্যানমূলক কর্মসূচী ও পদক্ষেপ গ্রহণ।

ঘ. পারস্পারিক সহযোগিতার মাধ্যমে সম্পর্ক উন্নয়ন ও সাংস্কৃতিক মান উন্নয়ন।

০৩। সদস্যের ধরণঃ

সদস্য পদ হবে (চা ) ধরনের

ক) সাধারণ সদস্য।

খ) সহযোগি সদস্য।

গ) বিশেষ/সম্মানিত/দাতা সদস্য

ঘ) আজীবন সদস্য।

) সাধারণ সদস্যঃ

জাতীয় দৈনিক সংবাদপত্র, বার্তা সংস্থা, আঞ্চলিক সংবাদপত্র এবং টেলিভিশন চ্যানেলে কমপক্ষে দু’বছর যাবত নিয়মিতভাবে কর্মরত এমন সাংবাদিকগণ  (জেলা প্রতিনিধি/জেলা সংবাদদাতা) এই ক্লাবের সাধারণ সদস্য হতে পারবেন। তবে প্রতিষ্ঠানিক নিয়োগপত্র/পরিচয়পত্র পওয়ার দুই বছর পর সদস্য হওয়ার আবেদন করা যাবে। এছাড়াও স্থানীয় দৈনিকের সম্পাদক ও বার্তা সম্পাদক এবং  স্থঅনীয় সাপ্তাহিকের শুধুমাত্র সম্পাদক একই নিয়ম অনুযায়ী স াধারণ সদস্য হিসেবে গণ্য হবেন। উল্লেখ্য যে, ক্লাবের সাধারণ সদস্যরাই হবেন এই ক্লাবের সকল ক্ষমতার উৎস। অর্থ্যাৎ প্রাতিষ্ঠানিক যে কোন বৃহৎ সিদ্ধান্ত, গঠনতন্ত্র সংশোধন ও প্রাতিষ্ঠানিক কর্মক্রম বিলুপ্ত ঘোষণার ক্ষেত্রে সাধারণ সদস্যদের সংখ্যাগরিষ্ঠ মতামত ও সিদ্ধান্তই চুড়ান্ত সিদ্ধান্ত হিসেবে গণ্য হবে।

) সহযোগী সদস্যঃ

সাধারণ সদস্যের বাইরে উপজেলা পর্যায়ে উপজেলা পর্যায়ে কর্মরত সাংবাদিক ও একই  গণমাধ্যমে কর্মরত একাধিক সাংবাদিক জেলায় অবস্থান করলে তারা সহযোগহী সদস্য হিসেবে গণ্য হবেন। সহযোগী সদস্যরা ক্লাবের নির্বাচনে ভাটাধিকার প্রয়োগ ছাড়া অন্যান্য কর্মকান্ডে অংশগ্রহণের সুযোগ পাবেন।

) বিশেষ /সমআনিত/দাত সদস্যঃ

নির্বাহী কমিটির সিদ্ধান্ত এবং উপদেষ্টা কমিটির মতামতের ভিত্তিতে জেলা এবং উপজেলা পর্যায়ের প্রশাসনিক গুরুত্বপূর্ণ ব্যাক্তি, সুশীল সমাজের প্রতিনিধি, বেসরকারী ও শায়ত্বশাসিত সংস্থার  প্রতিনিধি বিশেষ প্রেক্ষাপটে খন্ডকালীন সময়ের জন্য বিশেষ/দাতা সদস্য হিসেবে গণ্য হবেন। এছাড়াও জেলার কৃতি সন্তান অথচ জেলার বাইরে দেশে এবং বিদেশে সাংবাদিকতায় গণমাধ্যমে কর্মরত আছেন এমন ব্যক্তিগণ পদাধিকার বলে মেহেরপুর প্রেস ক্লাবের সম্মানিত সদস্য হিসেবে মর্যাদা পাবেন।

) আজীবন সদস্যঃ

মেহেরপুর প্রেস ক্লাব গঠনে এবং সাংবাদিকদের স্বার্থ সংরক্ষণে গুরুত্বপূর্ণ ও সক্রিয় ভূমিকা পালনকারী এবং প্রেস ক্লাবের প্রতিষ্ঠা পরবর্তী সময় থেকে এই গঠনতন্ত্র প্রণয়ন কাজে অংশগ্রহণকারী (পনের বছর নিরবিচ্ছিন্ন ভাবে প্রেস ক্লাবের সাথে যুক্ত) সাংবাদিকগণ আজীবন সদস্য হিসেবে গণ্য হবেন।

০৪। সদস্য হবার পদ্ধতিঃ

ক) যে কোন প্রিন্ট বা ইলেক্টনিক মিডিয়ায় কর্মরত সকল কর্মীদের (সম্পাদক থেকে তৃতীয় শ্রেণী পর্যন্ত) সকলকেই প্রেস কার্ড দেওয়া হয়। সে ক্ষেত্রে সকলেই সাংবাদিক হিসেবে গন্য হবেন না। কেবল মাত্র প্রতিনিয়ত সংবাদ তৈরি, সংগ্রহ ও পাঠানো অর্থাৎ সক্রিয় সাংবাদিকতার সাথে যারা জড়িত এবং যাদের লেখনি সংবাদ অর্থাৎ সক্রিয় সাংবাদিকার সাথে যারা জড়িত এবং যাদের লেখনি সংবাদ প্রায় প্রতিদিন তাদের কর্মস্থল প্রিন্ট কিংবা ইলেক্ট্রনিক মিডিয়ায় প্রকাশিত ও প্রচারিত হয়ে থাকে তারাই সাংবাদিক হিসেবে গণ্য হবেন।

খ) নতুন সদস্য পদ প্রাপ্তির ক্ষেত্রে আগ্রহী সাংবাদিককে সংগঠনের নির্ধারিত ফরম পূরণ করে ও ফি জমা দিয়ে আবেদন করতে হবে। ১০০/= টাকার বিনিময়ে আবেদন ফরম সংগ্রহ করে নির্বাহী কমিটির নূন্যতম ৩ (তিন) জন এবং উপদেষ্ঠা কমিটির নূন্যতম ২ (দুই) জন সদস্যের সুপারিশ সাপেক্ষে আবেদন পত্র জমা দিতে হবে। তবে জেলার অভ্যন্তরে অন্য কোন প্রেস ক্লাব, রিপোর্টার্স ইউনিটি, জাতীয় সাংবাদিক সংস্থা বা এ জাতীয় কোন ক্লাবের সদস্য মেহেরপুর প্রেস ক্লাবের সদস্য হতে পারবেন না।

গ) সাধারণ সদস্য ভূক্তির ক্ষেত্রে সাংবাদিকদের শিক্ষাগত যোগ্যতা, গ্রহণযোগ্যতা ও শৃঙ্খলা যাচাই-বাছাই সাপেক্ষে সদস্যপদ লাভের জন্য একটি উপ-কমিটি থাকবে। নির্বাহী কমিটির ৩ (তিন) জন এবং উপদেষ্ঠা কমিটির ২

(দুই) জন মিলে মোট ৫ (পাঁচ) সদস্যের mgš^‡q বাছাই কমিটি গঠিত হবে। পদাধিকার বলে নির্বাহী কমিটির সভাপতি, সম্পাদক ও সাংগঠনিক সম্পাদক এবং উপদেষ্ঠা কমিটির জৈষ্ঠ্য ২ (দুই) জন সদস্য উ-কমিটির সদস্য হবেন। মূলতঃ সাধারণ সদস্য লাভের ক্ষেত্রে এই কমিটির সিদ্ধান্ত নির্বাহী কমিটির কাছে চূড়ান্ত বলে বিবেচিত হবে।

ঘ) নতুন সদস্য ভূক্তির আবেদন পত্রের সাথে সদস্য তোলা ২ (দুই) কপি পাসপোর্ট সাইজের ছবি, নিয়োগকৃত গণমাধ্যমের নিয়োগপত্র/পরিচয় পত্রের ফটোকপি, শিক্ষাগত যোগ্যতার সনদের ফটোকপি ও অন্তর্ভূক্তি ফিসের রশিদ জমা দিতে হবে। আবেদনপত্র জমা হওয়ার পর ফেকে ৬ (ছয়) মাস পর্যন্ত বিশেষ পর্যবেক্ষণে রাখা হবে। অতঃপর প্রার্থীর ব্যাপারে কোন গুজর-আপত্তি বা কোন অভিযোগ উত্থাপিত না হলে বাছাই কমিটির কাছে উক্ত আবেদনপত্র প্রাথমিক ভাবে বিবেচিত হবে।

ঙ) সাধারণ সদস্য পদ গ্রহণের ক্ষেত্রে সাংবাদিককে নূন্যতম এসএসসি/সমমানের শিক্ষাগত যোগ্যতা সম্পন্ন হতে হবে। উল্লেখ্য যে, অনিয়মিত ভাবে প্রচারিত এবং নিষ্ক্রিয় বা আধা নিষ্ক্রিয় কোন সংবাদপত্র বা কোন গণমাধ্যমের প্রতিনিধি সাধারণ সদস্যপদ গ্রহণের ক্ষেত্রে অবিবেচিত হবেন। তবে বাছাই কমিটির সর্ব সম্মতিক্রমে এ ধারা সহ সদস্য পদ ভূক্তির ক্ষেত্রে অন্য কোন ধারা শিথিলযোগ্য হতে পারে।

চ) কোন রাজনৈতিক দলের সক্রিয় সদস্য প্রেস ক্লাবের সাধারণ সদস্য পদ লাভের জন্য আবেদন করতে পারবেন না। এবং প্রেস ক্লাবের কোন সাধারণ সদস্য রাজনীতির সাথে সক্রিয় ভাবে যুক্ত হয়ে পড়লে তথ্য প্রমানাদি সাপেক্ষে যাচাই-বাছাই কমিটি মতামত নিয়ে নির্বাহী কমিটি অভিযুক্ত সদস্যের সদস্য পদ বাতিল করতে পারবে। এ ক্ষেত্রে অভিযুক্ত সদস্য আত্মপক্ষ সমর্থন মূলক যুক্তিযুক্ত ব্যাখ্যা ও শর্ত উপস্থাপন করলে তা গ্রহণযোগ্য বএল বিবেচনা করা যেতে পারে।

ছ) গঠনতন্ত্রের চার নং ধারার (ক) এবং (চ) উপ-ধারা ব্যতিত অন্যান্য উপ-ধারা প্রেস ক্লাবের পুরাতন সদস্যদের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হবে না। তবে চার ন ধারার (খ) উপ-ধারার শেষাংশ (তবে…. পারবেন না।) পুরাতন সদস্যদের জন্য বলবত থাকবে।

৫। নির্বাহী কমিটির কাঠামো, কার্য ক্ষমতা দায়মুক্তিঃ

ক. কাঠামোঃ  ১) সংগঠনের কার্যক্রম পরিচালনার জন্য ১১ (এগার) সদস্য বিশিষ্ট একটি নির্বাহী কমিটি হবে। যার কাঠামো হবে নিম্নরূপঃ

সভাপতি, একজন সহ-সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক, একজন যুগ্ম সম্পাদক, অর্থ সম্পাদক, সাংগঠনিক সম্পাদক, দপ্তর সম্পাদক এবং চারজন নির্বাহী সদস্য।

২) পদত্যাগ বা অন্য কোন কারণে সভাপতির পদ শুন্য হলে সহ-সভাপতি এবং সাধারণ সম্পাদকের পদ শুন্য হলে যুগ্ম সম্পাদক দ্বায়িত্ব পালন করবেন। সহ-সভাপতি, যুগ্ম সম্পাদক বা সম্পাদকীয় কোন পদ কোন কারণে শুন্য হলে নির্বাহী কমিটির মধ্য থেকে শুন্য হওয়ার  কারণে পনের (১৫) কার্য দিবসের মধ্যে সে পদ পূরণ করতে হবে।

খ. কার্য ক্ষমতা ও দায়মুক্তিঃ

১) সংগঠনের আদর্শ ও উদ্দেশ্যকে সামনে রেখে সাংবাদিক ও সংগঠনের ¯^v_© সংশ্লিষ্ট যে কোন বিষয়ে নির্বাহী কমিটি প্রয়োজনীয় কার্যক্রম ও সিদ্ধান্ত গ্রহন করবেন। সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক সংগঠনের মুখপাত্র হিসেবে কাজ করবেন। পদাধিকার বলে সভাপতি সমস্ত সভার সভাপতিত্ব করবেন। তবে সাধারণ সম্পাদক তার সদস্যদের নিয়ে নির্বাহী সকল কাজ সম্পাদন করবেন। তবে সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের সকল কর্মকান্ড উপদেষ্টা কমিটি কর্তৃক নিবিড় পর্যবেক্ষণে থাকবে। সে ক্ষেত্রে ক্লাবের শীর্ষ দুই পদের নেতৃত্বে এবং নির্বাহী সদস্যদের কোন কর্মকান্ড ও আচরণ সন্দেহজনক বা আপত্তিকর প্রমাণিত হলে উপদেষ্টা পরিষদ তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে পারবে।

২) নির্বাহী কমিটি বছরে অন্ততঃ দু’বার সাধারণ সভা করবে। তবে জরুরী সিদ্ধান্তের ক্ষেত্রে প্রয়োজনে অতিরিক্ত সাধারণ সভা আহ্বান করা যাবে।

৩) সংগঠনকে গতিশীল করার ¯^v‡_© এবং সাংগঠনিক সক্রিয়তা ও নেতৃত্ব সৃষ্টির লক্ষ্যে নির্বাহী কমিটি যে কোন কর্মসূচী ও অনুষ্ঠান পরিচালনায় উপকমিটি গঠন করতে পারবে।

৪) ক্লাব পরিচালনায় নির্বাহী কমিটির এক তৃতীয়াংশ সদস্যের উপস্থিতি ও সম্মতিক্রমে এবং উপদেষ্টা পরিষদের অনুমতি নিয়ে যে কোন সিদ্ধান্ত গ্রহণ ও বাস্তবায়ন করতে পারবে। এছাড়া ৫ নং ধারা সহ উপধারায় বর্ণিত যে কোন বিষয়ে নির্বাহী কমিটিকে উপদ্‌ষ্েটা কমিটির মতামত গ্রহন করতে হবে।

৫) নির্বাহী কমিটি গঠনতান্ত্রিক নিয়মে সভা আহ্বানে ব্যর্থ হলে অথবা একাধিকবার কমিটির সদস্যদের অনুপস্থিতি পরিলক্ষিত হলে নির্বাহী কমিটির যে কোন তিনজন সদস্য সংখ্যাগরিষ্ঠ সাধারণ সদস্যের মতামত নিয়ে নির্বাহী কমিটির তলবী সভা আহ্বান করতে পারবে। নির্বাহী কমিটির সম্পাদক মন্ডলীর যে কোন সদস্য ক্লাবের শৃঙ্খলা ও পেশাগত নৈতিকতা বিরোধী কর্মকান্ডের সাথে যুক্ত/লিপ্ত হলে এবং দূর্নীতির অভিযোগ প্রমাণিত হলে একই নিয়মে অভিযুক্তের বিরুদ্ধে অনাস্থা গ্রহনের সিদ্ধান্ত নিতে পারবে।

৬) নির্বাহী কমিটির মেয়াদ শেষ হওয়ার পরদিন থেকেই কমিটির কার্যক্ষমতা বিলুপ্ত হিসেবে গণ্য হবে।

৭) মেহেরপুর প্রেস ক্লাব সাধারণত ট্রেড ইউনিয়নের ভূমিকায় অবতীর্ণ হবে না। তবে সাংবাদিকদের ¯^v_© রক্ষার প্রশ্ন দেখা দিয়ে প্রয়োজনীয় ভূমিকা পালন করবে।

৮। সংগঠন দলীয় রাজনৈতিক বিরোধ বা বিতর্কে যক্ত হবে না। মেহেরপুর প্রেস ক্লাব এর নাম ব্যবহার করে সংগঠনের কোন কর্মকর্তা বা নির্বাচিত সদস্য রাজনৈতিক বক্তব্য দিতে পারবেন না বা রাজনৈতিক প্লাটফর্মে  বা এ সংগঠনের ¯^v_© ছাড়া ব্যাক্তিগত ¯^v‡_© ব্যবহার/বক্তব্য রাখতে পারবেন না।

০৬। নির্বাচন

ক) সাধারণ সদস্যদের প্রত্যক্ষ ভোটে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।

খ) কার্য নির্বাহী কমিটির নির্বাচনে কোনস প্যানেল বা পরিষদ করা যাবে না।

গ) সভাপতি এবং সাধারণ সম্পাদক পদে নির্বাচনের ক্ষেত্রে প্রার্থীকে ক্লাবের সাধারণ সদস্য পদ প্রাপ্তির পর থেকে তিন (৩) বছর এবং ব্যক্তিগত বয়স যথাক্রমে নূন্যতম ৪০ এবং ৩৫ বছর বয়সী হতে হবে। সাধারণ সদস্যরা নির্বাহী কমিটির যে কোন পদে একক ভাবে প্রতিদ্বন্দ্বীতা করতে পারবেন। তবে একাধিক পদে প্রতিদ্বন্দ্বীতা করতে পারবেন না।

ঘ) কার্য নির্বাহী কমিটির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক ব্যতিত অন্য যে কোন পদে যে কোন সদস্য একাধিকবার নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বীতা করতে পারবেন।

ঙ) মেয়াদ শেষ হওয়ার সাথে সাথে গঠিত আহ্বায়ক কমিটি দ্বায়িত্ব পালন করবেন এবং নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে সাধারণ নির্বাচনের প্রস্তুতি গ্রহন ও নির্বাচন সম্পন্ন করে নব নির্বাচিত কমিটির কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করবেন।

চ) আহ্বায়ক কমিটি নির্বাচন সম্পন্ন করতে বা দ্বায়িত্ব পালনে ব্যর্থ হলে উক্ত আহ্বায়ক কমিটির কার্য ক্ষমতাও বিলুপ্ত হবে।

ছ) আহ্বায়ক কমিটি বিলুপ্ত হলে উপদেষ্ট কমিটি দুই দিনের মধ্যে নতুন আহ্বায়ক কমিটি গঠন করবেন। দ্বিতীয় এ কমিটিও যদি তাদের দ্বায়িত্ব পালনে ব্যর্থ হয় তাহলে উপদেষ্টা পরিষদ সংখ্যাগরিষ্ঠ সাধারণ সদস্যদের মতামত নিয়ে আপদকালীন সিদ্ধান্ত গ্রহন করে পরবর্তী করণীয় নির্ধারণ করবেন।

জ) উপদেষ্টা কমিটি ক্লাবের গঠণতন্ত্রের ধারাবাহিকতা রক্ষার্থে নির্বাচনের মাধ্যমে নতুন কমিটি গঠনের লক্ষ্যে কমিটির মেয়াদ শেষ হওয়ার ১০ (দশ) দিন আগে আহ্বায়ক কমিটির নাম ঘোষণা করবেন। উপদেষ্টা পরিষদ গঠনতন্ত্রের ৬ এর (ঞ) উপধারার আলোকে একজন আহ্বায়ক ও দু’জন সদস্যের mgš^‡q তিন সদস্য বিশিষ্ট আহ্বায়ক কমিটি গঠন করবেন। এই আহ্বায়ক কমিটি দ্বায়িত্ব গ্রহণের পর হতে ১০ (দশ) দিনের মধ্যে নির্বাচন কমিশন গঠন করে নির্বাচনের যাবতীয় প্রক্রিয়া শুরু করবেন এবং গঠিত নির্বাচন কমিশন আহ্বায়ক কমিটির সমন্বয় ও সহযোগিতায় ১৫ (পনের) দিনের মধ্যে নির্বাচন সম্পন্ন ও ফলাফল ঘোষণা করবেন।

ঝ) নির্বাচন কমিশন গঠনের পর নির্বাচন সংক্রান্ত যাবতীয় সিদ্ধান্ত গ্রহন করবেন নির্বাচন কমিশন। সে ক্ষেত্রে নির্বাচনকালীন সময়ে আহ্বায়ক কমিটি কমিশনের কাজের তদারকী ও পর্যবেক্ষণ করবেন। এ সময়ে আহ্বায়ক কমিটি শুমাত্র নির্বাচন সম্পন্নের কাজ ছাড়া ক্লাবের অর্থনৈতিক ও গুরুত্বপূর্ণ কোন কর্মকান্ড পরিচালনা বা এ সম্পর্কিত কোন সিদ্ধান্ত নিতে পারবেন না।

ঞ) নির্বাচন কমিশন হবে তিন সদস্য বিশিষ্ট। তবে যিনি নির্বাচন কমিশনার হবেন তাকে অবশ্যই জেলার অরাজনৈতিক ও গ্রহনযোগ্য ব্যক্তিত্ব হতে হবে। এ ক্ষেত্রে কর্মরত কোন সরকারী কর্মকর্তা বা সাবেক সরকারী/বেসরকারী কর্মকর্তা কিংবা সুশীল সমাজের কোন প্রতিনিধি নির্বাচন কমিশনার হতে পারবেন।

তৈরি করেছেন: একেএম শাফিউল আজম (শিক্ষক,মেহেরপুর কলেজ অব ইঞ্জিনিয়ারিং এন্ড টেকনোলজী) | App Privacy Policy